অন্য শিশুদের মতো মেঘেরও তার বাবা-মাকে ঘিরে ছিল আপন ভুবন। তার নানি বলেন, ‘সাগরের কাছে মেঘের চাওয়া ছিল সবার ওপরে। গভীর রাতে সন্তান কিছু চাইলে আমরা পরেরদিন দেবো বলে থাকি। কিন্তু রাত ২টায় ঘুম ভেঙে যদি বাবাকে বলতো, কালোজাম খাবো, সেই রাতেই সাগর বের হয়ে যেত মিস্টি নিয়ে আসতে। বেশিদিন কাছে থাকবে না বলেই হয়তো, কে জানে! সেই ছেলে এখন মুখ ফুটে বলে না কিছু খাবো।’.
পাঁচ বছর আগে ২০১২ সালের এইদিনে ১১ ফেব্রুয়ারি সকালে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের বাড়িতে সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায়। সাগর তখন মাছরাঙা টেলিভিশনে আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন। তাদের ৬ বছরের সন্তান মেঘ ঘটনার সময় সেই বাসাতেই ছিল। কীভাবে নানিকে ফোন করে জানালো মৃত্যু সংবাদ, কীভাবে দরজা খুলে দিল তার কোনও কথাই সে জানাতে পারেনি সে। মনের মধ্যে ক্ষত নিয়ে বড় হতে থাকা মেঘ কখনও সেদিনটা নিয়ে কাউকে প্রশ্ন করে না।
এখন কেমন আছে সাগর-রুনির একমাত্র ছেলে মেঘ— প্রশ্ন করতেই নুরুন্নাহার মির্জা বলেন, ‘আমরা বড়রাই এখনও নিজেদের মনকে বোঝাতে পারছি না, আর মেঘ তো কোলের শিশু। আমার কিছু ভালো লাগে না আজও। জলজ্যান্ত ছেলেমেয়ে দুটো খুন হলো, কীভাবে হলো জানতে পারলাম না।’
ঈদে, জন্মদিনে কিংবা ১১ ফব্রুয়ারি যখন সব গণমাধ্যম সাগর-রুনির হত্যার খবর আবারও প্রচার প্রকাশ করে তখন মেঘ বাবা-মায়ের কথা কিছু জানতে চায় কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে মেঘের নানি বলেন, ‘না, ও অন্যরকম। ওকে অন্যরকম হতে হয়েছে। কখনোই কিছু জানতে চায় না। বাবার মতো হয়েছে, ভীষণ চাপা স্বভাবের।’ .
মামা নওশের নোমান গত পাঁচ বছর ধরেই মেঘের সার্বক্ষণিক সঙ্গী। মেঘের সব আবদারও যেন তাকে ঘিরেই। বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত কিংবা মায়ের গ্রামের বাড়ি পঞ্চগড়ে ঘুরতে যাওয়া মামার সাথেই। কেমন আছে মেঘ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঠিক আছে’। আরও জানান, বাবা-মা কে হারিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে গিয়ে ছোট্ট মেঘকে অনেক চাপ নিতে হয়েছে। মামা বলেন, ‘ওকে কতভাবে প্রশ্ন করেছে, কাউন্সিলিং এর জন্য নিয়ে যেতে বলেছে, আমরা গিয়েছি। বাবা-মাকে হারানোর পরপর সে একেবারেই স্বস্তির সময় পায়নি। তদন্তের নামে ছেলেটি এই ঘটনার মধ্যেই থেকেছে দীর্ঘ সময়। আমরা চাই ওর স্বাভাবিক জীবন। ও যেন সেরা জীবনটা পায়।’
এদিকে সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মনির জানান, ‘মেঘ বয়সের তুলনায় অনেক বেশি পরিণত। চারপাশের পরিস্থিতি ওকে এমন করে দিয়েছে। নানী মামার সাথে ও স্বস্তিতে থাকে, থাকুক। আমার ছেলের স্মৃতিচিহ্নের মুখটাই বারবার মনে করে বুকে পাথর নিয়ে অপেক্ষায় থাকি, বেঁচে থাকতে বিচারের বাণী শুনতে পাবোতো?’
- মিলেমিশে চলছে সোনাদিয়া দ্বীপ ধ্বংসের প্রতিযোগিতা
- চকরিয়ায় আঞ্চলিক সড়কে যানবাহনে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশের জালে
- চকরিয়ায় মসজিদের নামে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ
- নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন নিশ্চিতে চকরিয়ায় কৃষিজমির সর্বোচ্চ ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তরের উদোগে নৌযান মালিক ও সারেং দের নিয়ে কর্মশালা
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
পাঠকের মতামত: